গজনী অবকাশ কেন্দ্র (Gajni Obokash Kendro) শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান। এখানে শাল, সেগুন ও গজারী গাছের সারি, ছোট-বড় টিলা, লতা-পাতার বিন্যাস, উপজাতীয়দের ঘরবাড়ি ইত্যাদি রয়েছে, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের আকর্ষণ করে।
প্রধান আকর্ষণসমূহ:
- কৃত্রিম লেক: পাহাড়ি ঝর্ণার গতিপথে বাধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম লেক, যেখানে নৌবিহারের ব্যবস্থা রয়েছে।
- রেস্ট হাউজ: গারো পাহাড়ের চূড়ায় ৬ কক্ষবিশিষ্ট আধুনিক রেস্ট হাউজ রয়েছে, যা থেকে পাহাড়ের পাদদেশের দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
- ওয়াচ টাওয়ার: ৬৪ ফুট উঁচু ওয়াচ টাওয়ার থেকে পাহাড়ি টিলার সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।
- ঝুলন্ত ব্রিজ ও ক্যাবল কার: ঝুলন্ত ব্রিজ ও ক্যাবল কারের মাধ্যমে পাহাড়ের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করা যায়।
কিভাবে যাবেন:
- ঢাকা থেকে: ঢাকা থেকে সরাসরি মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কারে গজনী অবকাশ যেতে পারেন। ঢাকা থেকে নিজস্ব বাহনে মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টায় ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশে আসা যায়।
- শেরপুর থেকে: শেরপুর থেকে লোকাল বাস, সিএনজি বা রিকশায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রে যাওয়া যায়। শেরপুর থেকে বাসে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে যেতে লাগবে ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
কোথায় থাকবেন:
- গজনী অবকাশ কেন্দ্রের রেস্ট হাউজ: গজনী অবকাশে ৬ কক্ষবিশিষ্ট আধুনিক রেস্ট হাউজ রয়েছে, যেখানে থাকতে পারেন।
- শেরপুর শহরে: শেরপুরে হোটেল সম্পদ, কাকলী গেস্ট হাউজ, বর্ণালী গেস্ট হাউজ, ভবানী প্লাজা নামের বেশকিছু মাঝারি মানের হোটেল রয়েছে।
- ফোন নাম্বারঃ সার্কিট হাউজ – ০৯৩১-৬১৫১৩, হোটেল সম্পদ – ০১৭১৮-২৯০৪৪৭, কাকলী গেষ্ট হাউজ – ০১৯১৪৮৫৪৪৫০, হোটেল সাইদ – ০৯৩১-৬১৭৭৬।
কোথায় খাবেন:
- গজনী অবকাশ কেন্দ্রে: গজনী অবকাশে পিকনিক করার জন্য বিশুদ্ধ পানির নলকূপ, পর্যাপ্ত স্যানিটেশন এবং রান্নার আয়োজন রয়েছে।
- শেরপুর শহরে: শেরপুরে নিউ মার্কেট এলাকায় হোটেল শাহজাহান, হোটেল আহার এবং হোটেল প্রিন্সে খাবার খেতে পারেন।
সতর্কতা:
- গজনী অবকাশ কেন্দ্র ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন, তাই সীমান্তের দিকে না যাওয়াই ভালো।
- গেটপাস সংরক্ষণ করুন, কারণ সীমান্তে বিজিবির নকশী ক্যাম্পে গেটপাস দেখাতে হয়।
উপসংহার:
গজনী অবকাশ কেন্দ্র শেরপুর জেলার একটি অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। এখানে পাহাড়ি ঝর্ণা, কৃত্রিম লেক, ওয়াচ টাওয়ার, ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবল কার, মিনি চিড়িয়াখানা, ক্যাকটাস পল্লী, শিশু পার্ক, রংধনু ব্রীজ, ক্রিন্সেন্ট লেক, কৃত্রিম জলপ্রপাত, প্যান্ডেল বোড, পানসিতরী নৌকা, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ, কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিফলক, পাতাল পথ, লাভলেইন এবং বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি রয়েছে।
Credit : BD Track
No Comment! Be the first one.