হযরত শাহ জামাল (রহ.) মাজার (Shah Jamaler Mazar) জামালপুর জেলার সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান। ১৫৮৬ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে হযরত শাহ জামাল (রহ.) ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ইয়েমেন থেকে এই অঞ্চলে আগমন করেন। তিনি তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ও পবিত্র জীবনযাপনের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। মুঘল দরবার পর্যন্ত তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতার খ্যাতি পৌঁছায়। বাদশা আকবর তাকে খানকা শরীফের ব্যয়ভার বহনের প্রস্তাব দিলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তার কারণে এই অঞ্চলটি জামালপুর নামে পরিচিত হয়।
কিভাবে যাবেন:
- ঢাকা থেকে ট্রেনে: কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিস্তা এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস বা ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে জামালপুর যেতে পারেন। শ্রেণীভেদে ট্রেনের টিকিট মূল্য ১৭৫ থেকে ৪৭৮ টাকা।
- ঢাকা থেকে বাসে: মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে মহানগর, এনা বা রাজিব পরিবহণের বাসে জামালপুর যেতে পারেন। বাসে ভাড়া প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।
- জামালপুর থেকে মাজারে: জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রিকশা বা ইজিবাইকে করে ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত মাজারে পৌঁছাতে পারেন।
থাকার ব্যবস্থা:
জামালপুর শহরে হোটেল রায়ান ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল সৌদিয়া ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল শেখ রিপন ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল প্রতিক্ষা, হোটেল আল সামাদসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রয়েছে।
খাবারের ব্যবস্থা:
জামালপুর শহরে হোটেল শ্যামল বাংলা, মেক্সিকান হট সাবওয়ে, এফএইচটি, তাজ ক্যাফে এবং জেএফসি রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন বাঙালি, ফাস্টফুড ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থান:
- দয়াময়ী মন্দির: জামালপুর শহরের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত এই মন্দিরটি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
- লাউচাপড়া পিকনিক স্পট: জামালপুর শহরের নিকটবর্তী এই স্থানটি পিকনিক ও অবসর সময় কাটানোর জন্য জনপ্রিয়।
হযরত শাহ জামাল (রহ.) মাজার জামালপুর জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থান। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য, যেখানে তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটাতে পারেন।
ফিচার ইমেজ: ফজলে রাব্বি
No Comment! Be the first one.