শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্ক, (Shilpacharya Zainul Abedin Park) ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি মনোরম উদ্যান, যা ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত। এটি ময়মনসিংহের অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।
অবস্থান:
ময়মনসিংহ শহরের সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত এই পার্কটি ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত, যা এর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
সুবিধা ও কার্যক্রম:
- ফোয়ারা ও দোলনা: পার্কে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা ও দোলনা রয়েছে, যা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের আকর্ষণ করে।
- মিনি চিড়িয়াখানা: পার্কে একটি মিনি চিড়িয়াখানা রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি দেখা যায়।
- নৌকা ভ্রমণ: ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের নদীর সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ দেয়।
- খাবারের দোকান: পার্কে বিভিন্ন খাবারের দোকান রয়েছে, যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খাবার পাওয়া যায়।
প্রবেশ ফি:
পার্কে প্রবেশের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। তবে, মিউজিয়ামে প্রবেশের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের ২০ টাকা এবং শিশুদের ১০ টাকা ফি প্রযোজ্য।
কিভাবে যাবেন:
- ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ: ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আসার জন্য বাস বা ট্রেন ব্যবহার করতে পারেন। বাসের ভাড়ার পরিমাণ প্রায় ৩২০ টাকা এবং সময় লাগে ২.৫ থেকে ৩ ঘণ্টা। ট্রেনের ভাড়ার পরিমাণ শ্রেণীভেদে ১২০ থেকে ৫০১ টাকা এবং সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।
- ময়মনসিংহে পৌঁছানোর পর: ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন বা বাস স্টপ থেকে রিকশা বা সিএনজি নিয়ে সহজেই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কে পৌঁছানো যায়।
থাকার ব্যবস্থা:
ময়মনসিংহ শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে, যেমন হোটেল আমির ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল আল হেরা, হোটেল মোস্তাফিজ, সিলভার ক্যাসেল, রিভার প্যালেস, হোটেল আসাদ, ঈশা খাঁ এবং নিরালা।
খাবারের ব্যবস্থা:
ময়মনসিংহে বিভিন্ন মানের খাবারের হোটেল রয়েছে, যেমন সারিন্দা, হোটেল খন্দকার, ধান সিড়ি, সেভেন ইলেভেন, হোটেল মিনার, রোম থ্রি এবং ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব কেন্টিন। এছাড়া, ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী মালাইকারী, গুড়ের সন্দেশ এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাঁটি দই খাওয়ার সুযোগ মিস করবেন না।
সতর্কতা:
- পার্কে প্রবেশের সময় স্থানীয় নিয়ম-কানুন মেনে চলুন।
- পার্কের সৌন্দর্য রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
উপসংহার:
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্ক ময়মনসিংহের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক স্থান, যা স্থানীয় ও বিদেশি দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। এখানে আসলে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আরামদায়ক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।
No Comment! Be the first one.