ডিঙ্গাপোতা হাওর (Dingapota Haor) নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলাভূমি, যা তার অপূর্ব সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত। এটি দেশের বৃহত্তম হাওরগুলোর মধ্যে অন্যতম, যার আয়তন প্রায় ৮,৫০০ হেক্টর।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
- বর্ষাকালে: হাওরটি পানিতে পূর্ণ থাকে, যা মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত। শরৎ ও হেমন্তকালে হাওরের দুপাড়ের সবুজ সোনালি ধানক্ষেত ও নীলচে আকাশের সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
- শুষ্ক মৌসুমে: পানি কমে গেলে হাওরের তলদেশে ধান চাষ করা হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিভাবে যাবেন:
- বাসে: ঢাকা থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে নেত্রকোণা যাওয়ার বাসে চড়ে মোহনগঞ্জ পৌঁছাতে পারেন। মোহনগঞ্জ থেকে সিএনজি বা লেগুনা নিয়ে তেতুলিয়া ঘাটে গিয়ে ট্রলারে করে হাওর ভ্রমণ করা যায়।
- ট্রেনে: ঢাকা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে হাওর এক্সপ্রেস বা মোহনগঞ্জ ট্রেনে সরাসরি মোহনগঞ্জ পৌঁছাতে পারেন। স্টেশনের পাশেই নাস্তা করে অটো বা লেগুনা নিয়ে তেতুলিয়া ঘাটে গিয়ে ট্রলারে করে হাওর ভ্রমণ করা যায়।
থাকার ব্যবস্থা:
- মোহনগঞ্জে: হাওর ইন, হোটেল শাপলা ইত্যাদি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
- নেত্রকোণায়: বিরিশিরি ও দুর্গাপুরে হোটেল আল নুর, সৌরভ হোটেল, হোটেল চন্দন, হোটেল নিরালা ও হোটেল মদিনায় রাত্রিযাপন করতে পারেন।
খাবারের ব্যবস্থা:
- ট্রলারের মাঝির সঙ্গে যোগাযোগ করে হাওরে রান্না করে খেতে পারেন।
- মোহনগঞ্জে অবস্থিত হাওর ইন-এ খাবার খেতে পারেন।
- নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টির স্বাদ নিতে ভুলবেন না।
দর্শনীয় স্থান:
- কমলারাণী দীঘি: নেত্রকোণার একটি প্রাচীন দীঘি, যা স্থানীয়দের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
- সাত শহীদের মাজার: নেত্রকোণার একটি ঐতিহাসিক স্থান, যা স্থানীয়দের কাছে শ্রদ্ধার্ঘ্য।
- সোমেশ্বরী নদী: নেত্রকোণার একটি নদী, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।
- বিরিশিরি: নেত্রকোণার একটি স্থান, যা তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত।
- চিনামাটির পাহাড়: নেত্রকোণার একটি পাহাড়, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।
ডিঙ্গাপোতা হাওর তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
ছবি: সংগ্রহ
No Comment! Be the first one.